দূর থেকে দেখলে মনে হয় ভূতের বাড়ি। আসলে তেমনটি নয়। নিয়মিত কার্যক্রম নেই বলেই এমন ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে খালিয়াজুরী চাকুয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির। দিনের পর দিন বন্ধ থেকে অকেজো হয়ে পড়ছে যন্ত্রাংশগুলো। এদিকে দুর্গম এলাকা এবং জনবল সংকটে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছেন না বলে দাবি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাওরাঞ্চলের মা ও শিশুরা। খালিয়াজুরীর প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাসহ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে খালিয়াজুরী উপজেলাতে ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। তেমনি চাকুয়া একটি দুর্গম ইউনিয়ন। আর এই ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাজার লেপসিয়া। জনসংখ্যাও অনেক বেশি। যার ফলে হাওরাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যায় বহুল উন্নতমানের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি নির্মিত হয় এই চাকুয়া ইউনিয়নের লেপসিয়া গ্রামে। যার বেশিরভাগ দিবসই বন্ধ থাকে। এখানে কাগজে কলমে পরিদর্শক থাকলেও বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ পাচ্ছেন না এই দুর্গম এলাকার মানুষেরা। পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত কেন্দ্রে না আসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়েই ছুটে আসেন একমাত্র পরিদর্শক। সাথে সাথে তালা খুলে পরিদর্শন করান স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক গোলাম আজম বলেন, এদিকে দুর্গম এলাকার যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকা একটি কারণ। তাছাড়াও জনবল সংকটের কারণেই বেশি সমস্যা। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য তিন জন করে জনবল প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে একজন করে সেবা দান সত্যিই দুস্কর। তারপরেও আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এই জনবল সংকটের জন্যই হাওরবাসীকে কঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারছিনা। বারবার এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে আমরা চিঠি প্রদান করে আসছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার