নীলফামারীর সৈয়দপুরের বন্যারা পানি প্রবাহ কিছুটা কমলেও এখনো উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরশহর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার পানিতে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গত চার দিনের টানা বর্ষণে চিকলী ও খড়খড়িয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলায় দেখা দেয় বন্যা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ। আজ থেকে বন্যার পানি প্রবাহ কিছুটা কমলেও এখনও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ হাঠু সমান পানি বিরাজ করছে।
অপরদিকে রবিবার সকালে পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়ায় খড়খড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সৈয়দপুর শহরের পাটোয়ারী পাড়া, বসুনিয়া পাড়া, কুন্দল, নয়াবাজার ও বাঁশবাড়ি এলাকায় নদীর পানি ঢুকে পড়ে। এতে এসব এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে বন্যান পানিতে ডুবে দুই কিশোরসহ তিন জন মারা গেছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সৈয়দপুরের ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন জানায়, বন্যায় এবং বাঁধ ভেঙ্গে আড়াই হাজার পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বানের পানিতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলার ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বজলুর রশীদ।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, গত রবিবার পশ্চিম পাঠোয়ারী শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে খড়খড়িয়া নদীর পানি সৈয়দপুর শহরে প্রবেশ করে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই দুই কিশোর পানিতে ডুবে যায়। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাদেল লাশ উদ্ধার করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার