পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন না থাকলেও পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীর তীর রক্ষায় নির্মিত সিসি ব্লকের তৈরি নদী ভাঙন রোধ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ মিটার এলাকার সিসি ব্লক পদ্মা নদীতে ধসে পড়েছে। নুরুল্লাপুর ও আকছেদ মোড় এলাকায় ৪টি পয়েন্টে ধস লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম সিসি ব্লকের ধস এলাকা পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, সিসি ব্লকের ধস শুরু হওয়ায় নটোরের লালপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী পালিদেহা, গৌরীপুর, নুরুল্লাপুর, লক্ষীপুর, তিলকপুর ও নবীনগর গ্রাম হুমকির মুখে পড়ছে। আর এজন্য এলাকার লোকজন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, নদীর তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের ফলেই সিসি ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিসি ব্লক নদীতে ধসে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানায়, পদ্মা নদীর লালপুর উপজেলার নবীনগর, লক্ষীপুর, পালিদেহা, ও গৌরীপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এ কাজের সাথে জড়িত। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বালু মহল ইজারা না হলেও নদী থেকে বালু উত্তোলন থেমে থাকে না। প্রতি বছরই নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বালু মহাল নিয়ে মামলা থাকায় ২০০৯ সাল থেকে লালপুরের বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। এছাড়া পালিদেহা, নবীনগর, লক্ষীপুর এসব এলাকা বালু মহল হিসেবে ঘোষণা হয়নি। ফলে ইজারা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, পদ্মানদীর লালপুর অংশে নদীর তীর রক্ষা সিসি ব্লকের ৪৫ মিটার ধস লক্ষ্য করা গেছে। তবে তা বড় ধরনের কোন সম্যসা নয়। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুস্ক মৌসুমে নদীর তীরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তার জানা নেই বলেও তিনি জানান।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন সিসি ব্লকের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই মুহূর্তে ভয়ের কিছু নেই বলেও অভয় দেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব