বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ফরিদপুরের সদরপুরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করার ১০ দিন পর তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় সদরপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদরপুর উপজেলার বাবুরচর খালাসী ডাঙ্গী গ্রামে। নিহত ব্যক্তির নাম দাদন বেপারী (৫৫)।
নিহতের মামাতো বোন রেহেনা আক্তার জানান, বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঢেউখালী ইউনিয়নের চরবালাসিয়া গ্রামের আনোয়ার সিকদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে আনোয়ার সিকদার, সোহরাব সিকদার, সায়াদ সিকদারসহ বেশ কয়েকজন ষ্টিলের পাইপ, লোহার রড নিয়ে দাদন বেপারী ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের উপর হামলা করে। হামলাকারীরা দাদন বেপারী ও মমতাজকে বেদমভাবে পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে দুইজনই বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার পর শনিবার সকালে দাদন বেপারীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। পথিমধ্যে দাদন বেপারী মারা যায়।
এ ঘটনার পর সদরপুর থানা পুলিশ দাদন বেপারীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্থানীয়রা জানান, দাদন বেপারী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। কৃষিকাজ করেই তার সংসার চলতো। স্থানীয় এলাকাবাসী দাদন বেপারীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
সদরপুর থানার ওসি জানান, দাদন বেপারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল