নোয়াখালী সদর উপজেলার দারুল উলূম আল ইসলামিয়া চর মটুয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ছাত্রকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে দিনভর আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
আহত আরমান হোসেন (২০) পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর (জামাতে নুহুম) ছাত্র। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযুক্ত দুই শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বক্কর পালিয়ে যান।
মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, গত কয়েকদিন আগে এক ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়। এরপর বৃহস্পতিবার শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বক্কর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্র আরমান হোসেন ও রিয়াজ হোসেনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে হাত পা বেঁধে পেটান। সন্ধ্যার দিকে অভিবাবকদেরকে খবর দিয়ে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সহিদ উল্লাহ নামে এক শিক্ষক মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ছাত্রকে পেটানোর কথা স্বীকার করেছেন।
রাতে আরমান হোসেকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হোসেন মো. আরাফাত জানান, আরমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আরমানের বাবা আজাদ হোসেন সুধারাম মডেণ থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পালিয়ে যান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল