শরীয়তপুর সদর উপজেলায় নির্যাতন করে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ফারুক খলিফাকে (৩৩) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আদালত দুইজনকে মামলা থেকে খালাস দেন।
বুধবার দুপুরে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের পশ্চিম কোয়ারপুর বেপারীকান্দি গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে ফারুক খলিফার সঙ্গে একই ইউনিয়নের দফতরিকান্দি গ্রামের আবুল হোসেন খানের মেয়ে শেফালি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য শেফালিকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। এ নির্যাতন একপর্যায়ে বেড়ে যায়।
এদিকে ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বামী ফারুক খলিফা, শ্বশুর জলিল খলিফা ও শাশুড়ি ফুলমতি বেগম শেফালিকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য চাপ দেয়। যৌতুক আনতে অস্বীকার করলে শেফালিকে মারধর করেন তারা। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর শেফালির মৃত্যু হয়। পরে শেফালির বাবা আবুল হাসেম খান বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
শরীয়তপুর আদালতের পিপি মির্জা হজরত আলী বলেন, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনজনকে আসামি করে আবুল হাসেম খান পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে স্বামীর ফাঁসির আদেশ ও দুইজনকে খালাস দেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন