ঈদকে ঘিরে পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন নগরী পার্বত্য রাঙামাটি। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। অতিথিদের জন্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি-বেসরকারি রেস্ট হাউসগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এরই মধ্যে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে প্রায় হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউস।
অন্যদিকে রাঙামাটিতেও রয়েছে পর্যটক মনভুলানো আকর্ষণীয় সব স্পট। রয়েছে পাহাড়ের পর পাহাড়। কখনো গিরিখাদ, কখনো আবার ছোট্ট নদী। প্রকৃতি এখানে নিজেকে উজার করে দিয়েছে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা। যেকোন রূপের জৌলুস থাকে সারা বছরই। পার্থক্য কেবল ঋতুর সাজে। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর রাঙামাটি। এখানে চলে পাহাড়, নদী আর হ্রদের মিলন মেলা। এখানকার প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অদেখা ভুবন। আছে নয়নাভিরাম দৃশ্যপট। সবুজ পাহাড়ের পাশে পাহাড়ি ঝর্ণার কলতার আরও আকর্ষণীয় করেছে এ জেলাকে। প্রকৃতি প্রেমীদের আরও কাছে টানছে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলধারা। এমন পাগল করা প্রকৃতির অদ্ভুত সৌন্দর্য্যরে আধারে মিলিয়ে যেতে কার না মন চাই। আকাঁ-বাঁকা পাহাড়ে ভাঁজে টুকরো মেঘের অবাদ ছুটে চলা। এক পাহাড়ের চূড়া থেকে অন্য পাহাড়ের চূড়াই মেঘের লুকোছুড়ি খেলা। আর সে পাহাড়ের বুক চিরে প্রবহমান জলধারা যেন সবুজ অরণ্যের প্রাণের স্পন্দন ছড়িয়েছে চারপাশে। হ্রদ-পাহাড়ের সখ্যতায় হৃদয় নিংড়ানো সৌন্দর্যের বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য দেশের শুধুমাত্র রাঙামাটিতেই দৃশমান। প্রকৃতির এমন রূপ বৈচিত্র্য যেন হাতছানি দিচ্ছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের।
তাই ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে পারে হাজার হাজার পর্যটক। আর সেসব পর্যটকদের বরণ করে নিতে চলছে হোটেল মোটেলগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তাই হোটেল, মোটেল ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততাও।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক সৃজান বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঈদের বাকি মাত্র একদিন। ছুটিও লম্বা। কোন রকম দুর্যোগ না থাকলে এ ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামবে রাঙামাটিতে। দীর্ঘ এক মাসের পর্যটন খরার পর আবারও প্রাণাঞ্চল হয়ে উঠবে পাহাড়। এতে যেমন জমে উঠবে ক্ষুদ্র, মাঝারি পর্যটন সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো, তেমনি বৃদ্ধি পাবে রাঙামাটি পর্যটন খাতে রাজস্ব আয়। এবার আমাদের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে প্রায় কোটি। কিন্তু বুকিংয়ের আশানুরূপ পর্যটক আসলে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিতে ঈদ কিংবা পূজা, যেকোন সময় এখানে পর্যটকদের আগমণ থাকে বেশি। রাঙামাটির সুবলং ঝর্ণা, পর্যটন কমপ্লেক্স, আসামবস্তি সড়ক, প্যাদা টিং টিং, বরগ্যাং ও ফুরামন পাহাড়ের মত অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রেই পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে বেশি। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাঙামাটি টুরিস্ট পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার