ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ঠিকানা এখন জেল খানার কনডেম সেল। অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন সে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-
সভাপতি তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, পৌর কাউন্সিল মাকসুদুল আলম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বসবাস এখন ছোট্ট এই সেলে। ১৬ আসামির মধ্যে পুরুষ ১৪ জনকে রাখা হয়েছে ৮ টি সেলে। মহিলা ২ জনকে রাখা হয়েছে সাধারণ ওয়ার্ডে। চলতি বছরের ২৭ মার্চ আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফীকে যৌন হয়রানী করে জেলে ছিলেন সিরাজ। সেখানে থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবর আদালত থেকে ফিরে যাওয়ার পর পরই তাদেরকে কনডেম সেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আদালত থেকে আসার পর ১৪ জনকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। কামরুন নাহার মনি ও
উম্মে সুলতানা পপিকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। জেলা কারাগারগুলোতে কনডেম সেলের সিস্টেম নেই। তবে এখানে ১০ জনের জন্য সাধারণ সেল রয়েছে। যখনি কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসে তখন তাদেরকে সেলে রাখা। এবং সেগুলো কনডেম সেল হিসেবে নামকরণ করা হয়। তবে সাধারণ সেল এবং কনডেম সেলের মধ্যে কোনো প্রার্থক্য নেই। আগামী রবিবার রায়ের কপি পেলে আসামিদের কোথায় পাঠানো হবে সেটি আইজি প্রিজনের কাছে আবেদন করা হবে। পরে তার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ি উপযুক্ত কারাগারে পাঠানো হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের জেলা কারাগারে রাখা হয় না, কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখতে হয়।
যথা সময়ে আপিল করা হবে : এদিকে এই মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু বলেন, আমরা আপিল করতে যাচ্ছি। যথা নিয়মে আমরা হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল করবো। অবশ্যই হাইকোর্ট ডিবিশনে ন্যায় বিচারে এই রায় বাতিল হয়ে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন