পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি খনন করে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা। এর ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিলীন হওয়ার শংঙ্কায় রয়েছে নদীর তীর সংলগ্ন বসবাসকারীরা। এদিকে অবৈধ নদী খননকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীরে মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর। প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার এই নদী দিয়ে সাগরে আসা-যাওয়া করে। একই সাথে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধটি এ অঞ্চলের মানুষদের ঝড় জলোচ্ছাস থেকে রক্ষার জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। কিন্তু সেই নদীটি প্রভাবশালী মহল যে যার মতো করে মাটি কাটা শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে এভাবে মাটি কাটা হলেও স্থানীয়রা বাঁধা দিতেও সাহস পাননি। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর তীরে মাটি কেটে বড় কুয়ার মত করা হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে সেখানকার বনবিভাগের বেশকিছু গাছও। অভিযোগ রয়েছে টাকা না দিয়ে স্থানীয়দের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার।
লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, মাটি কাটার খবর পেয়ে আমি তাদেরকে নিষেধ করিছি। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নদীর তীর থেকে অবৈধ খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল