আশুলিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এসএসসি পরিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রিজাউল হক দীপুর আশ্বাসে ১ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে রবিবার ওই এলাকার নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। আহত শিক্ষার্থী জোনায়েদ হোসেন ইমন (১৬) আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার কবিরপুরের অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী হিসেবে পরিক্ষা দিচ্ছিলো।
বিক্ষোভকারীরা জানান, নবীরগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া বাস স্ট্যান্ডে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ফুটওভারের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফুটওভার ব্রিজের পশ্চিম ও পূর্ব উভয় পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। ফুটওভার ব্রিজে ওঠার পূর্ব পাশের সিড়ির উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের তার টানা ছিলো। তবে ফুটওভার ব্রিজের পূর্বপাশের অংশ ছাউনি না দিয়েই কাজ শেষ করা হয়।
এছাড়া ব্রিজের উঠার উভয় পাশের সিড়ি উন্মুক্ত রেখেই চলে যায় ঠিকাদার ও তার শ্রমিকরা। পরে ওই ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে ইমন রাস্তা পারাপারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। সে এখন মৃত্যুশয্যায়, তার পরীক্ষা দেওয়া আর হলো না। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে তারা মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী আমির হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা ব্রিজটির দু'পাশের মুখ বন্ধ রেখেছিলাম, কোন কারনে খোলা হয়েছিলো। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিতে সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে থাকি। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শীঘ্রই আহতের স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কুমার মালাকার বলেন, বিচারের আশ্বাস দিয়ে রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
