বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রাথমিক স্তরের সাড়ে ৩২ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ৫০ প্যাকেট করে বিস্কুট। স্কুল ফিডিংয়ের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এ বিস্কুট শিশুদের ক্ষুধা নিবারণ ও পুষ্টি বাড়াতে সক্ষম। করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গৃহবন্দি শিশুদের পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কর্তৃপক্ষ এ বিস্কুট বাড়িতে পৌছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ‘দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’র আওতায় মোরেলগঞ্জে ৩১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ৩২ হাজার ৫৯৬ জন শিশুকে দুপুরে বিস্কুট খাওয়ানো হতো। করোনার প্রভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায় ১৬ লাখ ৩০ হাজার প্যাকেট বিস্কুট স্কুল ও সরবরাহকারি কর্তৃপক্ষের গুদামে স্টক হয়ে যায়।
আজ সোমবার প্রকল্পের বাগেরহাট জেলা সমন্বয়কারি তাপস কুমার সাধু বলেন, প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমীন খানের নির্দেশনায় উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিশুদের বাড়িতে বিস্কুট পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে। বেসরকারি সংস্থা আরআরএফ এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা