নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলায় লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা করার পরেও মৃত ব্যক্তির নাম থাকাসহ নানা অভিযোগ উঠায় দুই কৃষি কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। সেইসাথে তালিকা প্রকাশ করা এবং চাল কেনা বন্ধ রয়েছে বলেও জানায় উপজেলা প্রশাসন।
খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, তালিকায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের খবর পেয়েই আমরা দুজন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে শোকজ করেছি। কর্মকর্তারা হলেন সদর ও মেন্দিপুর ইউনিয়নের। আপাতত আমরা ওই লিস্ট প্রকাশ করা এবং ধরে ধান কেনা বন্ধ রেখেছি। হয়তো নতুন করে আবার করবো। নয়তো ওয়েটিং লিস্টে যারা ছিলেন তাদের থেকে নেবো।
এদিকে, খালিয়াজুরি উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, একজনকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ তো আমি করেছি। দুজনকে কিভাবে করা হয়েছে আমার জানা নেই। সদর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ তার নাম।
তিনি আরও জানান, এই ইউনিয়নের তালিকায় দুজন মৃত ব্যক্তিসহ অরও ১০ জনের মতো জমি চাষ করেন না এমন মানুষের নাম কি করে আসলো তার জন্য শোকজটি করা হয়েছে।
লটারিতে কি করে মৃত ব্যক্তিদের নাম আসে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এইটা আমাদেরও দুর্ভাগ্য। তাদের নামগুলোই বা কেনো ভাসবে। এটির জবাব চেয়ে আমরা শোকজটি করেছি। এছাড়াও আর কোনো তালিকা অবশ্য প্রকাশ করছি না। একটি করা হয়েছিল। এগুলো পুনরায় দেখে শুনে পরিছন্নভাবে আবার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে ধান ক্রয় কমিটির উদ্যোগে খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার প্রায় ১১ হাজার কৃষকের নাম লিখে একটি লটারি হয়। লটারির মাধ্যমে ১৭৩৯ জন কৃষকের নাম রেখে চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ মেট্রিক টন ধান কেনার কথা। কিন্তু চূড়ান্ত ওই তালিকায় প্রকৃত কৃষকের নাম না থেকে মৃত এবং এলাকায় নেই ও চাষাবাদ না করা অসংখ্য লোক, সরকারি চাকরিজীবীর নাম ওঠে আসে। যার কারণে এলাকায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
খালিয়াজুরীর ইউপি চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান জোসেফ ক্ষুব্ধ হয়ে জানান, কৃষি বিভাগ মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে তালিকা তৈরি করার এটি একটি অন্যতম আলামত।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম