কুমিল্লার লাকসামে ধান কাটতে গিয়ে চিতাবাঘের তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের চনগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামের ফসলি জমি থেকে শাবকগুলো ধরেন এক যুবক। তবে ওই যুবক তথ্য গোপন করে মোটা অংকের বিনিময়ে শাবকগুলো বিক্রির অপচেষ্টা চালালেও তা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ শাবকগুলো উদ্ধার করে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চনগাঁও নোয়াপাড়ার আবেদনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন হাজী ছেরাজুল ইসলামের ছেলে মাসুম খান নিজেদের ফসলি জমিতে ইরি ধান কাটতে গিয়ে চিতাবাঘের তিনটি শাবক দেখতে পান। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি জীবিত অবস্থায় শাবকগুলো ধরেন। মাসুম এগুলো বাড়িতে নিয়ে খাচায় বন্দি করে অত্যন্ত গোপনে রেখে দেন। তিনি দুইটি শাবক আটক করেছেন মর্মে নিজের ফেসবুকেও একটি স্ট্যাটাস দেন। এরপর থেকে এলাকার লোকজন শাবকগুলো দেখতে আসলে তিনি দেখাননি। স্থানীয়দের সাথে বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাসুম চিতাবাঘের শাবকগুলো আটকের পর স্থানীয় প্রশাসন কিংবা বন বিভাগকে না জানিয়ে মোটা অংকের টাকায় এগুলো বিক্রির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করছেন বলে সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে মাসুম খানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি চিতাবাঘের তিনটি শাবক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তথ্য গোপন করেন। তিনি বলেন, দুইটি শাবক ছেড়ে দিয়েছি। অন্যটি পাশ্ববর্তী এলাকার আরিফকে দিয়েছি।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও) এ.কে.এম সাইফুল আলম জানান, খবর নিয়ে শাবকগুলো উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে ৩টি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো সত্যিকারের চিতাবাঘ কিনা তা বনবিভাগের লোকজন আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল