সারা দেশের মতো বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলেও সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতি বছর ৬৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের পদ্ধতিতে মাছ আহরণ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও আগামী ২০ মে থেকে বন্ধ হচ্ছে মাছ আহরণ।
এতে উৎকণ্ঠায় জেলা ও উপজেলার ছয় হাজার মাছ ধরার নৌযানের এক লাখের বেশি জেলে। তবে সরকারি তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সাগরে এখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাছ বড়ই হতে পারে না। এসব মাছের এখন প্রজনন মৌসুম। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এসব মাছের আকার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তাই এই কর্মসূচি।
জেলেদের ভাষ্য, একদিকে করোনার কারণে লকডাউন এবং পবিত্র রমজান চলছে, কিছুদিন পর আসবে খুশির ঈদ। দীর্ঘ দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেদের চরম অর্থকষ্টে পড়তে হবে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপকূলীয় এলাকায় সব জেলে, ফিশিং বোট ও নৌকার মালিকদের জানিয়ে দিয়েছি। মাইকিং করেও জেলেদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরণের মাছ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য কক্সবাজারের জেলেদের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, এ ৬৫ দিন কক্সবাজারের লক্ষাধিক জেলেসহ জেলার সকল জেলে সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা