শরীয়তপুরে গতকাল রবিবার মধ্যরাতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী সদর হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সদ্য জন্ম নেয়া সেই নবজাতকের নাম রাখা হলো ‘ছিনথিয়া’। জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর।
প্রসূতির নাম চায়না আক্তার, বয়স আনুমানিক ২৫ এর কাছাকাছি। শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন চায়না। গতকাল রাতে প্রসববেদনা উঠলে নড়িয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে রাতে তাকে এ্যাম্বুল্যান্স যোগে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু মাতৃত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করার ক্ষমতা নেই মানসিক ভারসাম্যহীন চায়নার। সন্তাব প্রসবের পর থেকেই বাচ্চাকে রেখে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে চায়না। পরে হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তাররা জোর করে তার বেডে নিয়ে আসে।
একই হাসপাতালে থাকা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রুপা আক্তার জানান, সন্তান জন্ম হওয়ার পর কেউ তার পাশে আসেনি। আমি তার সন্তানকে পরিষ্কার করেছি, রাতে আমার পাশে তার মেয়েকে রেখেছি।
সদর হাসপাতালের (তত্ত্বাবধয়ক) মনির আহমেদ খান জানান, নবজাতক এখন সুস্থ আছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী মহোদয়কে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে তার দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুর রহমান। তখন তিনি বাচ্চাটির সুরক্ষা এবং তাকে চিকিৎসা সেবার সব ধরনের ব্যবস্থা করেন।
ইউএনও মাহবুর রহমান বলেন, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি আমি জানার পর থেকে তার খোঁজ খবর রেখেছি। এখন মা ও মেয়ে দু'জনেই সুস্থ আছে। জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির দায়িত্ব সদর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা