জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময় সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা মোকাবেলায় তাদের প্রয়োজনীয় প্রটেকশনও ছিল না। কিন্তু জনগণকে সচেতন এবং করোনা রোগী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়িয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনা রোগীদের সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করে এবং করোনা প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করার ক্ষেত্রে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ গণমাধ্যম বন্ধুরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে তা স্মরণ করবে। বিভিন্ন সময়ে করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রচার করছেন তারা।
এছাড়াও চিকিৎসকদের পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রচার করে তারা জনগণকে সচেতন করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। ইতোমধ্যে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। তিনি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং যে সমস্ত সাংবাদিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান করে তাদের পাশে আছেন ও থাকবেন। তিনি করোনাভাইরাসের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা জন্য মহান আল্লাহর কাছে রহমত কামনা করেন এবং জনগণকে ঘর থেকে বের না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাজারে বেশি জনসমাগম করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলবে। এটা খুবই দুঃখজনক।
এ সময় তিনি বাজারে গিয়ে জেনে শুনে বিষপান না করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে ফটো সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরাম্যান ও সংবাদপত্র হকার্সদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার পৌঁছে দেওয়ার সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘোষ, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম