ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দুপুরে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার আসামি সুজন মিয়া রাতেই পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। রবিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ভেলানগর গ্রামের জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সুজন মিয়া উপজেলা সদরের জগন্নাথপুরের নুরুল ইসলামের ছেলে। সুজন তালিকাভূক্ত অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, চুরি, ডাকাতিসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে রবিরার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর গ্রামের মাহবুব হাসান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সুজন ও তার সঙ্গীরা।
এ ঘটনায় একই দিন বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুজনকে গ্রেফতারে উপজেলা ভেলানগর গ্রামের প্রত্যন্ত জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় সুজনসহ তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় দুপক্ষের গুলি বিনিময়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের এএসআই মনিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মফিজুল ইসলাম, নুরুল আমিন, মনিরুল ইসলাম ও মোবারক হোসেন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুজনকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে থেকে পুলিশ একটি পাইপগান, চারটি গুলির খোশাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত মো. সুজন বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের তালিকাভূক্ত অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় দুটি হত্যা মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। নিহত সুজনের সঙ্গীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল