ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যুতের ২০টি খাম্বা ভেঙ্গে পড়েছে। ছিঁড়ে গেছে ৬০০ কিলোমিটার লাইন। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ ডিজিএম দিলিপ কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন। শুক্রবার বিকেল নাগাদ শতভাগ বিদ্যুৎ সচল হবে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার জানান, ১২৫২টি মৎস্য ঘের ডুবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন বলেন, ৭০ একর জমির কলা বাগান ও সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদার বলেন, ১ নং ওয়ার্ডে প্রায় এক কিলোমটার রাস্তা নদীতে ধ্বসে গেছে। কয়েক শ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খাউলিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ব্রীজ ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রায় ২ হাজার বসতবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঝড়ে প্রায় দেড় লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপন চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি অধীক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন