রংপুরে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে হাড়িভাঙ্গা আম চাষিদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। ঝাড়ের কারণে অধিকাংশ আমই ঝরে পড়েছে। ফলে আম চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। অথচ সুস্বাদু এই আম জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়ার কথা ছিল। তবে কৃষি বিভাগ বলছে ৫ শতাংশের বেশি ক্ষতি হবে না। তবে চাষিদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৫৯ হেক্টর।
শাহজান বকুল, শামছুজ্জামান, হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আম চাষি জানান, ঝড়ের কারণে তাদের সকলের আশা আকাঙ্খা ধুলিস্মাৎ হয়ে গেছে। ঝড়ে বাগান আম শূন্য হয়ে পড়েছে।
হাড়িভাঙ্গা ছাড়াও ফজলি, কেরোয়া, এছাহাক তেলি, ছাইবুদ্দিন, আশ্বীনি, সাদা নেংড়া, কালা নেংড়া, কলিকাতা নেংড়া, মিশ্রী ভোগ, গোপাল ভোগ, আম্রপলি, সাদা রচি, চোচা, আঁটি জাতীয় আমের ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তবে হাড়িভাঙ্গা আমের ক্ষতিই বেশি হয়েছে। এবার হাড়িভাঙ্গা উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল পনের হাজার মেট্রিক টনের ওপর। কিন্তু আম্ফানের আঘাতে কতটুকু আম ঘরে তুলতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে আম চাষিরা। এছাড়া ঘূণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ১ হাজার ৯৩ হেক্টর বোরো ধান, ৪৫০ হেক্টর আম, সবজি ৭২৮ হেক্টর, ভ্ট্টুা ১৩৯ হেক্টর কলা ৪২ হেক্টরমরিচ ৫১ হেক্টর,তিল ৫ হেক্টর, মুগ ১৪ হেক্টর, পান ১০ হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ঝড়ে আমের ক্ষতি হয়েছে বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৫৫৯ হেক্টর বোরোসহ অন্যান্য ফসল ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার