দেশে বয়ে যাওয়া সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে বগুড়ায় বেশ কিছু টিনের চালা, বোরোর ধান ক্ষেত, সবজি, গাছগাছালির ক্ষতি হয়েছে। বগুড়ায় বিভিন্ন এলাকায় একটানা ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বগুড়া জেলা প্রশাসকের বাস ভবনে থাকা দীর্ঘবয়সী একটি আম গাছ উপড়ে পড়ে যায়। এছাড়া জেলা সদরের শিকারপুরে কয়েকটি বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সরাদিন ছিল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া।
বুধবার রাত ১০ টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বেলা ১টায়। কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সচল করতে করতে বেলা ৩টাও বেজে যায়।
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বগুড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবের কবলে পড়ে। রাত যতটায় বেড়েছে বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসের গতিও বেড়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনের সড়কের ডিভাইডারের বকুল গাছে আশ্রয় নিয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাবুই পাখি মারা যায়। মারা যাওয়া পাখিগুলো সকালে পরে ছিল। এছাড়া প্রচন্ড ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান, গাছপালা ও ঘর বাড়ীর ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় বিদ্যুত বন্ধ হওয়ায় অন্ধকারে ছিল বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা। এসময় পানি সহ নানা সংকটে দূর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। ঝড়ের মধ্যেই মোবাইল আলোতে সেহরী করে অনেক পরিবার।
বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, বগুড়ার খুবই কম পরিমানে ঘরের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে। জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায় গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। বোরোর অল্প কিছু ধান ক্ষেতে ঝড় বয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে তিনি জানান, তেমন আকারে কোন ক্ষতি হয়নি। বগুড়ায় ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়েছে। ক্ষতি তেমন হয়নি।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় বেরোর ধান কাটা হয়েছে ৬০ ভাগ। বেশির ভাগ এলাকায় ধানকাটা হয়েছে অল্প কিছু জমির ধান ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। আদৌ ক্ষতি হয়েছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার