স্থলভাগে শক্তি ক্ষয়ে দুর্বল হয়ে এখন পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হলেও রাত ১২টার পর থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। পাবনার নৌবন্দরগুলোকে ৩ নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভোররাত পর্যন্ত চলা ঝড়ের তাণ্ডবে পাবনার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি, আম ও লিচু বাগান, গাছপালা, বৈদ্যুতিক লাইন ও দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কের অনেক গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ায় অনেক সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী। সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন।
আম্ফানের তাণ্ডবে কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও ফসল ও মৌসুমী ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বর্ষণে ডুবে গেছে পাকা বোরো ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, পাবনা জেলায় ধান আম-লিচু ও সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে পাবনায় লিচুর বাজ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। সেখানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ লিচু নষ্ট হয়ে গেছে বলেও দাবী কৃষি সংশ্লিষ্টদের।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম