পাবনার আটঘরিয়ায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক ভ্যানচালক নিহত ও ঈশ্বরদীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় জড়িত একজন কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে চাটমোহর থেকে আটঘরিয়া যাবার কথা বলে তিনজন ছিনতাইকারী একটি অটোভ্যান ভাড়া করে। পথিমধ্যে আটঘরিয়া উপজেলার ভরতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে পৌঁছালে অটোভ্যানে থাকা ছিনতাইকারীরা অটোভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক মোবারক হোসেন দুলাল (৩৫) কে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে আহত অটোভ্যান চালককে উদ্ধার ও এক ছিনতাইকারীকে আটক করে। অন্যারা পালিয়ে যায়। আটক ছিনতাইকারী নাসির হোসেন (২৫) চাটমোহর উপজেলার চক উথুলী গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। স্থানীয়রা আহত অটোভ্যান চালক কে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত ভ্যান চালক মোবারক হোসেন দুলাল আটঘরিয়া উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে।
এদিকে, স্বামীর মানিব্যাগে প্রেমিকার চিরকুট রাখার প্রতিবাদ করায় ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জাহিদ ও তার পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পালাতক আছে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। নিহত স্ত্রী ঐশি খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর-আওতাপাড়া গ্রামের মাহাবুল আলমের মেয়ে। নিহত ঐশির ৮ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
নিহত ঐশির মা সাহানারা বেগম জানান, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের হারুনের ছেলে জাহিদের সাথে ঐশির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর ঐশি তার পরিবারকে জানান, তার স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। সর্বশেষ ঐশি তার স্বামী জাহিদের মানিব্যাগে তার প্রেমিকার ছবি দেখে এর প্রতিবাদ করায় শনিবার রাতে তাকে মারপিট করে স্বামী জাহিদ। এ পর্যায় জাহিদ ঐশির পরিবারকে ফোনে খবর দেন ঐশি গলায় ফাঁস দিয়েছে। দ্রুুত তার পরিবারের লোকজন গিয়ে বিছানায় ঐশির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐশিকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে এলাকাবাসী সুষ্ঠু বিচার দাবিতে সাহাপুর এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হোক।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন রবিবার দুপুরে জানান, ঐশির মা বাদি হয়ে থানায় একটি এজহার দিয়েছেন। সে মোতাবেক আমরা তদন্ত করছি, অপরদিকে ময়না তদন্তের পর আরো নিশ্চিত হতে পারবো বিষয়টি। তবে ছেলের সাথে একটি মেয়ের অবৈধ সম্পক ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন