ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বোনের নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপন বড় ভাইয়ের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চরপাচুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাচুড়িয়া ইউনিয়নের কাশেম মোল্লার মেয়ে মোস্তফা মোল্লার বোন ঝর্না বেগমের বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের চরপাচুড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস মৃধার ছেলে রবিউল মৃধার সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী রবিউল যৌতুকের জন্য স্ত্রী ঝর্নাকে মারধর ও নির্যাতন করতো।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে পুনরায় স্ত্রীকে রবিউল বেধড়ক মারধর করলে ভাই মোস্তফা মোল্লাসহ বাবার বাড়ির লোকজন বোনের বাড়ি চরপাচুড়িয়া গিয়ে প্রতিবাদ ও রবিউলকে শাসন করে। এসময় রবিউল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীর বড়ভাই মোস্তফাসহ সকলের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও মোস্তফাকে আটকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে মোস্তফা মারাত্বক জখম হয়। জখম অবস্থায় তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিলে মোস্তফার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মোস্তফার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে ওই রাতেই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তফা মোল্লা বুধবার (৪ নভেম্বর) মারা যায়।
এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম মিজানুর রহমান জানান, আমি ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় আছি। এলাকা থেকে শুনেছি মেয়েটিকে বিয়ের পর থেকে স্বামী রবিউল মারধর করতো। মঙ্গলবার রাতে ঝর্নার ভাইয়েরা বোনের মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে বড়ভাই মোস্তফাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করার পর তিনি হাসপাতালে মারা গেছে।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি রেজাউল করীম জানান, খবর পাওয়ার পর সরেজমিন পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি ফরিদপুর মিটিংয়ে আছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার্থে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ