নাটোরে উত্তরা গণভবনের রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় রাস্তার দুই ধারের গাছ কাটার জন্য জেলা পরিষদকে চাহিদাপত্র দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু গাছ কাটার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন নিতে দেরি হয়ে যায়। এতে সওজের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর রাস্তার দুই ধারে গাছ কাটার অনুমোদন পায় নাটোর জেলা পরিষদ।
গত সপ্তাহে গাছ কাটার কার্যাদেশও দেয় তারা। কিন্তু প্রশস্তকরণ হওয়ার পরে কেন গাছ কাটতে হবে, এমন বিষয়টি নজরে আসে গণমাধ্যম কর্মীদের। পরবর্তী সময়ে গাছ না কাটার জন্য জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের কাছে অনুরোধ জানান তারা। শেষ পর্যন্ত গণভবন প্রবেশ পথের দুই ধারে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকে জেলা পরিষদ। এতে করে রক্ষা পায় ৬৫টি গাছ।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ উত্তরা গণভবনের প্রবেশপথে রাস্তাটি প্রশস্তকরণের প্রকল্প নেয়। সে মোতাবেক তারা দুই ধারে গাছ কাটার জন্য জেলা পরিষদকে চিঠি দেয়। কিন্তু গাছ কাটার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন নিতে দেরি হয়ে যায়।
এর মধ্যেই রাস্তা প্রশস্তকরণ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটার জন্য অনুমোদন পায় জেলা পরিষদ। সে মোতাবেক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৬৫টি গাছ তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে তারা।
গত সপ্তাহে গাছ কাটার কার্যাদেশ পায় জেলা পরিষদ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাছগুলো কেটে নেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। সে মোতাবেক ঠিকাদার বালিকা শিশু সদনে যাওয়ার রাস্তার ওপর দুটি গাছ কাটতে শুরু করে।
এসময় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি। পরে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে গাছ না কাটার জন্য অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর পরই জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে অবগত করা হয়েছে। গাছ না কাটার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই