যশোরের ঝিকরগাছায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে গৃহবধূ পুতুল রানী দাস মারা যাওয়ার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুতুলের মা পুষ্প রানী দাস বুধবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় পুতুলের স্বামী প্রদীপকে আসামি করা হয়েছে। প্রদীপ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাত একটার দিকে মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পুতুল রানী ও তার স্বামী প্রদীপকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুতুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে যশোর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু খুলনায় নিয়ে গেলে তাকে আবার ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকার নেওয়ার পথে গোপালগঞ্জের কাছে পুতুল মারা যান।
ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুতুলের সাথে ছিলেন তার কাকা সঞ্জয় দাস। মৃত্যুর আগে পুতুল তার কাকার কাছে অগ্নিদগ্ধের কারণ সম্পর্কে বলে গেছেন। সঞ্জয় দাস জানান, বিয়ের পর থেকেই পুতুল ও প্রদীপের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে প্রদীপ গায়ে আগুন দিয়ে ভালবাসার প্রমাণ দেওয়ার জন্য পুতুলকে বলেন। এসময় পুতুল গায়ে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। প্রতিবেশিরা জানান, চিৎকার শুনে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে পুতুলের শরীরে আগুন দেখতে পান। এসময় প্রদীপ আগুন নেভানোর কোন চেষ্টাই করেনি। প্রতিবেশিরা আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করলে প্রদীপ তখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় থাকায় প্রদীপ আগুনে দুই হাত পুড়িয়ে ফেলেন।
পুতুলের স্বজনরা জানান, পুতুল চার মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা ছিল। এক বছর আগে প্রদীপ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ ও সনাতন ধর্ম গ্রহণ করে পুতুলকে বিয়ে করেন। তার আগে প্রদীপের নাম ছিল আল আমিন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল