বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অপহরণের আড়াই মাস পর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী সরকারি সেফহোমে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আদালতের আদেশে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ধুনট থানা থেকে তাকে সেফহোমে পাঠানো হয়।
এছাড়া স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মোতালেব হোসেন (২২) বগুড়া আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারকের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বখাটে মোতালেব হোসেন ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। এর আগে মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা ২টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালনগর গ্রামের মেয়ে স্থানীয় খাটিয়ামারি উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় মোতালেব হোসেন। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ২৮ ডিসেম্বর ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মোতালেব হোসেন ও তার মা-বাবাসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ অবস্থায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে উদ্ধারের পর আদালতে হাজির করা হলে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। একই দিন মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। অবশ্য মেয়েটির ভাষ্য, তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। তাদের মধ্যে শারীরিকও সম্পর্ক হয়। এছাড়া এই মামলার প্রধান আসামি মোতালেব হোসেন বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধুনট থানার উপপরিদর্শক মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে জবানবন্দি রেকর্ডের পর মেয়েটি তার মা-বাবার কাছে যেতে রাজি হয়নি। এ কারণে তাকে রাজশাহী সরকারি সেফহোমে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন