দুই ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনার মূলহোতা ইছা মিয়া ও তার সহযোগী আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার ইছা মিয়াকে গাইবান্ধা জেলার ধাপেরহাট এলাকা থেকে এবং তার সহযোগী আব্দুল লতিফকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ সকালে রংপুর নগরীর র্যাব-১৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস। এর আগে ওই চক্রের আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, খুলনার খালিশপুরের গোয়ালখালি এলাকার দুই নার্সারি ব্যবসায়ী অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তারা বিভিন্ন অনলাইন পেজের মাধ্যম দেশের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা ক্রয় করতেন। সেই সূত্রে রংপুরের গঙ্গাচড়া এলাকার ইছা মিয়া ও আব্দুল লতিফ ছদ্মনামে খুলানায় চারা কেনার উদ্দেশ্যে যান। তারা অনেক চারা ক্রয় করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে মাটি পরীক্ষার জন্য রংপুরে আসার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানায়। খুলনার দুই ব্যবসায়ী তাদের কথা মতো রংপুরে এলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ফুলবাড়ি চওড়া গ্রামের জনৈক রুহুল আমিনের বাড়িতে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন তারা। বিকাশের লেনদেনের সূত্র ধরে ১৪ জানুয়ারি র্যাব-১৩ অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। এসময় ওই চক্রের তিন সদস্য বাচ্চু চন্দ্র, স্বপন রায় ও খাদিজা বেগমকে অস্ত্র, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেন। সে সেময় কৌশলে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা ইছা মিয়া ও তার সহযোগী আব্দুল লতিফ মিয়া পালিয়ে যায়। পরে বুধবার অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম