ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা। গত ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের শেষ দিনে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়।
এই কেন্দ্রে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্তু টিকা দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থীকে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের আজ শেষ দিন হলেও বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছে টিকাদানের কর্মপরিকল্পনা।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ১০টায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও বিরামহীনভাবে কাজ করে গেলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। সেই সাথে অভিভাবক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে দেখা গেছে।
বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল শাহ জাফর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কলেজটির অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটন সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ৪৬৭ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেন।
তিনি জানান, আমার কলেজের ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের আগেই টিকার আওতায় এনেছি। আজ ১৮ বছরের নিচের এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের ৪৬৭ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হলো। আমার কলেজের সকল শিক্ষার্থী এখন টিকার আওতাভুক্ত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান মিয়া জানান, করোনা প্রতিরোধে আমরা নিরবিছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থীকে এখন পর্যন্তু টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রমের আজ শেষ দিন হলেও বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এই কেন্দ্রে আরও দুই দিন টিকা দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই