চুয়াডাঙ্গায় ৫টি ওয়াকফ এস্টেটভুক্ত সম্পত্তির কোটি টাকার আয় দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি ওয়াকফ এস্টেটের প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ তদন্তে এসেও স্থানীয়দের তোপের মুখে তদন্ত না করেই ফিরে যান। অভিযোগ উঠেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা পক্ষপাতিত্ব করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী সংশ্লিষ্ট ওয়াকফ এস্টেট পরিবারের সদস্য আব্দুস সামাদ সোহাগ জানান, তার দাদা বদর উদ্দীন আহামেদ স্থানীয় আলিয়ারপুর জুমার মসজিদ, আলিয়ারপুর মাদ্রাসা, গোরস্থান, সাধুহাটি এম ই স্কুল ও ঝিনাইদহ ওল্ড স্কিম মাদ্রাসার উন্নয়ন বাবদ খরচ-খরচার জন্য প্রায় ৫.৬৩ একর জমি ওয়াকফ করে যান। সংশ্লিষ্ট ওয়াকফ এস্টেট পরিবারের সদস্য শওকত হাসান ১৯৯৩ সাল থেকে এই সম্পত্তির নিযুক্ত মোতওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কিন্তু বিগত ২৯ বছর তিনি এসব সম্পত্তির কয়েক কোটি টাকার আয় নিজে ভোগ করে আসলেও ওয়াকফ এস্টেটভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নয়ন করেননি। এ বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ বারবার তাকে আয়ের তথ্য জানানোর জন্য বললেও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দাখিল করে।
আব্দুস সামাদ সোহাগ আরও জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া ওয়াকফ এস্টেট অফিসের হিসাব নিরীক্ষক সজল মিয়া তদন্তে আসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ থাকায় স্থানীয়রা তার প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে ওয়াকফ এস্টেট অফিসের হিসাব নিরীক্ষক সজল মিয়া জানান, তদন্তের সঠিক পরিবেশ না থাকায় তিনি তদন্ত না করেই ফিরে যাচ্ছেন। তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই