ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় লিচু গাছে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। নানা জাতের লিচু চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। এখন প্রতিটি লিচু গাছ মুকুলে ভরপুর। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ভালো ফলনের আশা করছেন স্থানীয় লিচু চাষিরা। ইতিমধ্যে চাষিরা লিচু গাছের পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় এক লিচু চাষি বলেন, এ বছর মাঘ মাসের শেষদিকে বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলায় লিচুর গাছগুলোতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে লিচু বাগানগুলোতে পাতার ফাঁকে ফাঁকে দেখা মিলছে আমের মুকুলের।
এদিকে, বিজয়নগর উপজেলায় ভিটিদাউদপুর, খাটিংগা, বিষ্ণুপুর, ছতুরপুর, কালাছড়া, বক্তারমুড়া, শ্রীপুর, নোয়াগাও, পত্তন, আদমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, পাহাড়পুর, সেজামুড়া, কামালমুড়া, গিলামুড়া, জলিলপুর ও মুকুন্দপুর বেশ কয়েকটি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ হচ্ছে। ওইসব এলাকায় বাগানে দেশী লিচু, এলাচি, চায়না, পাটনাই ও বোম্বাই লিচু চাষ করা হয়। এসব মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় তারা লিচু চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ জেলার মানুষের কাছে দিনদিন সমাদৃত হচ্ছে লিচুর বাগান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগর উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর রয়েছে।
সিঙ্গারবিল এলাকায় কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম ভূঞা জানান, এ বছর লিচু বাগানগুলোতে মুকুল অনেক ভালো এসেছে। কৃষকদের সাথে কথা বলে সার্বক্ষণিক পাশে থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাগানগুলো রক্ষা পায়, তাহলে এ বছর বিজয়নগরে লিচুর ফলনে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ জানান, এখানকার মাটি লিচু চাষের জন্য খুবই উপকারী। লিচুর ফলন বৃদ্ধিতে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি রয়েছে জেলাসহ দেশজুড়ে।
বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, যা লিচুর বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী। এ অবস্থায় থাকলে এবার লিচুর বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ ব্যক্ত করেছেন। তারপরও সবকিছু একমাত্র প্রকৃতির আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর নির্ভর করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই