মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেউথা পর্যন্ত রাস্তাটি ফোরলেন করা হয়েছে। কিন্তু খালপার এলাকার ব্রীজটি সরু থাকায় সবসময় জানজট লেগেই থাকে। কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে দীর্ঘ রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। সুধুমাত্র খালপারের সরু সেতুটি প্রশস্ত না করার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীদের।
মানিকগঞ্জ শহরে প্রবেশ করার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে শহীদ স্বরণী সড়ক। এই রাস্তা দিয়েই মানিকগঞ্জ শহরে প্রবেশ করতে হয়। আবার এই রাস্তা দিয়েই বাহির হয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে যেতে হয়। দীর্ঘদিন পরে হলেও এই সড়কটি ফোরলেন করা হয়েছে, লাগানো হয়েছে রঙিন বাতি। গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটি ফোরলেন করায় বদলে গেছে সড়কের চিত্র।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেউথা পর্যন্ত প্রশস্ত রাস্তাটি শহরকে বদলে দিয়েছে। কিন্তু খালপার এলাকার সরু সেতুটি প্রশস্থ করা হয়নি। সারা রাস্তায় কোনও ধরনের যানজট বা কোন ধরনের ভোগান্তি নেই। খালপার এলাকায় আসলে সকল প্রকার যানবাহণ আটকে থাকে দীর্ঘ সময়। ব্রীজের দক্ষিণ পারে জেলার সকল সরকারি অফিস আদালত অবস্থিত। উত্তরে রয়েছে থানা ও সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ এবং পশ্চিমে রয়েছে গুরুত্বপুর্ণ একটি রাস্তা। এর ফলে খালপার এলাকায় লোকজনের চাপ সবসময় বেশি থাকে। এখানে যানজটে আটকে পরার কারনে শিক্ষার্থীরা সময় মতো ক্লাস করতে পারেন না। এলাকাটি যানজট মুক্ত রাখতে আইনশৃংলা বাহিনী চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন বলেন, এখানকার সেতুটি প্রশস্ত করলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
সালমা বেগম বলেন, আমার বাচ্চা বেউথা রোডে একটি বেসরকারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। প্রতিদিন খালপারে এসে আটকা পড়ি। কোনও দিনই জ্যামে আটকা পড়া ছাড়া যেতে পারি না। ব্রিজ ঠিক না করে রাস্তা চওড়া করে লাভ কি হলো।
জেলা নাগরিক ও পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিয়ার রহমান খান বলেন, শহরের মধ্যে ভাল মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত থাকায় প্রতিনিয়ত প্রচুর লোকজন এ রাস্তায় চলাচল করে। ব্রীজটি সরু থাকায় আগমন ও প্রস্থানের সময় ব্রীজে চরম ভোগান্তিতে পরেন আগতরা।
পৌর মেয়র মো. রমজান বলেন, শুধু খালপারের সমস্যার কারনে ২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তা ফোরলেন করার পরেও ভোগান্তি কমছে না। খালপারের সরু ব্রিজের বিষয় আইনশৃংখলা মিটিং এ উত্থাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক একমত হয়েছেন। এখন ব্রিজটি প্রশস্ত করতে কোন সমস্যা হবেনা। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ