বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া এলাকার রঞ্জু সরদার (৩৮) হত্যা মামলায় ১০ বছর পর ১২ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দেড়টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন বগুড়া জজকোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ হাবিবা মন্ডল।
জায়গা জমি বিরোধে ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১২ সালের ৭ জুলাই সকাল ৭টার দিকে সদরের বড় কুমিড়া বিএড কলেজের সামনে রঞ্জু সরদারের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রঞ্জু সরদার মারা যান। নিহত রঞ্জু সরদার বড় কুমিড়ার আজাহার সরদারের ছেলে।
এ ঘটনার পর নিহতের বাবা আজাহার আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রনজু সরদার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদরের বড় কুমিড়া এলাকার হেলাল শেখের ছেলে মো. রিপন শেখ, মো. রাজু শেখ, মো. রিজু শেখ ও মো. রাবু শেখ, সদরের বানদীঘি এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মো. আইনুল ইসলাম ও মো. একরাম হোসেন, সদরের বড় কুমিড়ার ইনতাজ শেখের ছেলে মো. খয়বর আলী, সদরের ঝোপগাড়ি এলাকার আকবর আলীর ছেলে ৮। মো. আজগর আলী, সদরের বানদিঘী হাপুনিয়ার নায়েব আলীর ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, বানদিঘী বড়ালতলা এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. জিন্নাহ প্রাং, সদরের ঝোপগাড়ি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. মাহফুজার রহমান, এবং সদরের নিশিন্দারা পূব খাপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।
মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ৭ জন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মো. রিপন শেখ, মো. রাজু শেখ, মো. রিজু শেখ, মো. রাবু শেখ, মো. আইনুল ইসলাম, মো. একরাম হোসেন ও মো. খয়বর আলী।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল বারী হলি জানান, মামলায় আদালত ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৫ জনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার বাদী নিহত রঞ্জুর বাবা আজাহার সরদার পরিবারের লোকজন মামলায় রায়ে তারা খুশি হয়েছেন। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে সাজা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত