ফেনীর সোনাগাজীর আদর্শ গ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মফিজুর রহমান ও পুলিশ কনস্টেবল মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দোকান থেকে বাজার করে টাকা না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এমন তথ্য জানান পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এর আগে গত রবিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ পরিদর্শক মো. মফিজুর রহমান ২৯ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর স্থানীয় চা দোকানী ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে ওসমান আলীকে জনসম্মুখে লাঞ্চিত করে। স্থানীয় শাহজাহানের ছেলে মো. সুমন ও আবদুর রহমানের ছেলে রিমনকে মারধর করে আটক করে রাখে। তারা তদন্ত কেন্দ্রের ওয়াইফাইর কাজ করতে গেলে তাদের সাথে এ আচরণ করা হয়। এ সময় ওয়াইফাই মূল এজেন্টকে ফোনে গালমন্দ করে ও মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এ দুই পুলিশের বিরুদ্ধে সেলুনে চুল কেটে টাকা না দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগকারীরা হলেন, স্থানীয় ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে আলী আহম্মদ, আবদুল খালেকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, শাজাহানের ছেলে মো. সুমন, শাজাহানের ছেলে ওমর ফারুক,ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে ওসমান আলী, আবদুর রহমানের ছেলে রিমন, নুর ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম, আবদুল মালেকের ছেলে রহিম উল্যাহ, লোকমান হোসেনের ছেলে বেলায়েত হোসেন ও জসিম উদ্দিনের ছেলে শেখ শাহিদ।
অভিযোগে জানানো হয়, আদর্শ গ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল মঈন উদ্দিন আইন অমান্য করে ও জোর জুলুম করে তাদের মতো করে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে আসছেন। তারা দুইজন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোকান থেকে জিনিসপত্র ক্রয় করে টাকা ফেরত দেয় না। টাকা ফেরত চাওয়া হলে দোকানীসহ বিভিন্নজনকে নানাভাবে লাঞ্চিত করতো অভিযোগ করেছে। তারা ভয়ে এতদিন নিরব থাকলেও পুলিশের এ দুই সদস্যের অত্যচার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ