নেশার টাকার জন্য কিশোরী গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী নাইম হাসান কাজলের (২৫) বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে নেত্রকোনো জেলা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে গেলে গলায় ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে পালিয়ে যায় নাইম।
পরে পরিবারের লোকজন তার গোঙানির আওয়াজ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতেই জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীর গলায় ৫১টি সেলাই করা হয়েছে।
পুলিশ, পরিবার-স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ৭ বছর আগে প্রেম করে অনন্দবাজার এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে নাইম হাসান কাজলের সাথে পশ্চিম নাগড়াবাসী আনোয়ার হোসেনের মেয়ে নদী ইসলাম পালিয়ে বিয়ে করেন। বয়স তখন ১৩ অথবা ১৪। পরে ধীরে ধীরে রাজি হন মেয়ের বাবা।
কিন্তু বেকার কাজল টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছিল কিশোরী গৃহবূধকে। তার কাছে থাকা প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিতেই তাকে এভাবে হত্যার জন্য গলায় ছুরি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় নদীর মা মিনা বেগম বাদী হয়ে মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে বারবার নির্যাতন করছে। এইবার আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এনে পরিকল্পনা করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মনসুর জানান, রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকলেও আমরা সেবা দিচ্ছি। আদালত থেকে রিপোর্ট চাইলে দেয়া হবে। সে ব্যাপারে আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না।
থানার তদন্ত কর্মকতা সোহেল রানা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিনা বেগম বাদী হয়ে তিনজনেক আসামি করে মামলা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ মোবাইল ফোনে জানান, আমি একটি সাক্ষী দিতে ময়মনসিংহে আছি। থানায় মামলা দেয়ার ব্যবস্থা চলছে। এসেই দেখবেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই