পাবনা-১ আসনের নির্বাচনি এলাকার সেলন্দা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা বহরে হামলার অভিযোগ নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বেলা একটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রচারণার একটি গাড়ি বহর নিয়ে সাথিয়া উপজেলার সেলন্দা বাজার অতিক্রম করার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়ি বহরের একই মাইক্রোবাস ভাঙচুর ও ৫ জন আহত হয়েছেন।
সাথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার গাড়ি বহর নিয়ে সেলন্দা বাজার অতিক্রম করার সময় নাগডেমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জালাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন ও আকাশর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের মারপিট শুরু করে। এতে আমাদের অর্থাৎ ট্রাক প্রতীকের অন্তত ৫ জন কর্মী আহত হয়।
নির্বাচনি বহরে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান মাসুদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রত্যেকটা প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এ হামলার ঘটনা। আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে প্রশাসনকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। আমরা প্রশাসনের নিকট নির্বাচনি পরিবশ নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট আব্দুল বাতন বলেন, নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শুরুর দিন থেকেই আমাদের বাধা দিয়ে আসছেন নৌকার কর্মী সমর্থকরা। আমাদের মাঠে নামতে দিতে এত ভয় কেন বুঝতে পারছি না। আমাদের গাড়ি বহরে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ সাথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান মাসুদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবর্গ ছিলেন। এরই ভেতর তারা আমাদের উপর হামলা করে। আমরা এখন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেব। আমাদের নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশকে অবহিত না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচারণা করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে, আমরা খবর পাওয়ার পর আমাদের পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাগডেমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল হোসেন সাথে ও পাবনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএম