স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার শুনানি নিয়ে বুধবার ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান এ আদেশ দেন। আসামি বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পরিবহন বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে বরিশালের উজিরপুর থানার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন তালুকদারের ছেলে মো. মনির তালুকদারের সঙ্গে ঝালকাঠির সদর থানার চামটা নিবাসী আমিন তালুকদারের মেয়ে উম্মে হাবিবার বিয়ে হয়। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে একে একে তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।
বিয়ের সময় জামাইকে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের উপহার দেয় মেয়েপক্ষ। এছাড়া পরবর্তী সময়ে আরও কয়েক লাখ টাকা জামাই মনির বিভিন্ন সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে নেয়। এখন তিনি আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন, অন্যথায় স্ত্রীকে মারধর ও তালাকের হুমকি দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নুর হোসেন বলেন, যৌতুক নিরোধ আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ সদস্য মনির তালুকদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলায় ছয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এদিকে পরকীয়া ও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে মনিরের বিরুদ্ধে একটি অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে। লিখিত ওই অভিযোগে উম্মে হাবিবা জানান, আমার স্বামীর প্রয়োজন ও দাবি অনুযায়ী আমার পৈতৃক পরিবার বিভিন্ন সময়ে তাকে মোটা অংকের আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু, গত কয়েক মাস থেকে আমার স্বামী যৌতুক হিসেবে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। যা আমাদের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য সে বিভিন্ন সময়ে আমাকে অকথ্য গালিগালাজ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি এসব সহ্য করেছি। গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করছি যে, বনানী থানায় কর্মরত কনস্টেবল রেক্সোনা খাতুন (বিপি-৯১১১১৪২৮০৭), নামের একজন নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এই রেক্সোনা খাতুনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় তার স্বামীর করা লিখিত অভিযোগের তদন্তেও রেক্সোনার পরকীয়া প্রেমিক হিসেবে আমার স্বামী মনিরের নাম এসেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ