পিরোজপুরের নেছারাবাদে ঘরে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের পর শেফালি বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শেফালি বেগম উপজেলার সুটিয়াকাঠী গ্রামের আব্দুস সোবাহানের স্ত্রী।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুই ছেলের সঙ্গে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাস করতেন শেফালি বেগম। তার দুই ছেলে এবং এক ছেলের স্ত্রী পেশায় শিক্ষক। সকালে শেফালির বড় ছেলে এনামুল হক, তার স্ত্রী রুবিনা রহমান শ্রাবণী এবং ছোট ছেলে রিয়াজ উদ্দিন তাদের স্কুলে চলে যান। বড় ছেলে এনামুলের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তাহজিদও সকালে স্থানীয় একটি মাদরাসায় যায়। এছাড়া ছোট ছেলে রিয়াজের স্ত্রীও তার বাবার বাড়িতে ছিল। ফলে এ সময় ঘরে একাই ছিলেন শেফালি।
স্থানীয়দের ধারণা সকালের কোনো এক সময় একটি দুর্বৃত্তরা চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে রশি দিয়ে শেফালি বেগমের হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে হত্যা করে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে সটকে পড়ে।
দুপুরের পরে শেফালি বেগমের নাতি তাহজিদ ঘরে ফিরে তার হাত-পা বাঁধা নিথর দেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার দেয়। এ সময় প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক শেফালি বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শেফালি বেগমের বড় ছেলে এনামুল বলেন, মায়ের হত্যাকারীরা ঘর থেকে প্রায় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমীন বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করা যাবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম