সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাজার নিয়ন্ত্রণে আনুন

রমজান সামনে রেখে সক্রিয় হোন

দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাতে সত্যিকার অর্থে সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে এ ভয়াবহ সংকটের উদ্ভব। গত বছর দ্রব্যমূল্য বাড়ার ক্ষেত্রে ছিল সত্যিকার অর্থেই একটি খারাপ সময়। এর আগে এক দশকে আর কখনো এমন মূল্যস্ফীতির মুখে পড়েননি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ২০১১ সালের পর বিদায়ী ২০২২ সালে সাধারণ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। শহর ও গ্রামে উভয় জায়গায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, যা বাংলাদেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের দুর্দশা বাড়িয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও মন্দাভাব সৃষ্টি হয়েছে দুনিয়াজুড়ে। এর ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ মানুষের প্রকৃত আয় এবং পারিবারিক কল্যাণ হ্রাস করে। বেতনভোগী নিম্ন-মধ্যম এবং মধ্যম আয়ের পরিবারের জন্য তা দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রাজধানী ঢাকায়। ঢাকায় এ হার ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ঢাকার বাইরে এ হার সামান্য কম। জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, মাছ, মুরগি, ডিমসহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বলা হয় নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে প্রকারান্তরে স্বল্প আয়ের মানুষের দাম কমে। তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কঠিন হয়ে ওঠে। গত বছর দুনিয়াজুড়ে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে অপ্রত্যাশিতভাবে। করোনাভাইরাসের বিপদ কাটতে না কাটতেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এ নিয়ে বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের পুনরাবৃত্তি দুনিয়াবাসীর জন্য সংকট সৃষ্টি করেছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে সরকারের সাধ ও সাধ্যের পার্থক্যে সাধারণ মানুষ খুব একটা উপকৃত হচ্ছে না। এ অবস্থার মোকাবিলায় রোজা সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর