শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে কিছুক্ষণ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে কিছুক্ষণ

‘বাংলার বিহার উড়িষ্যার মহান অধিপতি, তোমার শেষ উপদেশ আমি শুনিনি জনাব। ইউরোপীয় বণিকদের ঔদ্ধত্য ব্যবহার আমি বারবার ক্ষমা করেছি। আমি তোমার রাজ্য রক্ষা করতে পারিনি দাদু। আমি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করেছিলাম।’ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ নাটকের প্রথম দৃশ্যের প্রথম ডায়ালগে আলিবর্দী খাঁর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সিরাজউদ্দৌলার কথার অংশ বিশেষ। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বর্তমান পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর কাছে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলা নয়, হাজার বছরের ইতিহাসে পুরো ভারতবর্ষের জন্য সবচেয়ে বড় বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে যায়। তার ফলে কয়েক বছরের মধ্যে পুরো ভারতবর্ষ দখল করে নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দামি উপনিবেশে পরিণত হয়। প্রায় ২০০ বছরের শাসনে ইংরেজ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করেছে তা শুধু নয়, শত শত বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে একই সঙ্গে বসবাসকারী উপমহাদেশের দুই প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে চরম সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষের বীজ বপন ও সেটিকে লালন-পালন করে এমন বিস্তার ঘটিয়েছে যে, যার সূত্র ধরে ভারতবর্ষ খন্ড-বিখন্ড হয়েছে, লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তে লাল হয়েছে গঙ্গা, ভাগীরথী আর সিন্ধু নদের পানি। ইংরেজদের তৈরি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ঘৃণার শিকার হয়ে ভারতবর্ষের তিনটি দেশেই আজও রক্ত ঝরছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই মহাবিয়োগান্ত ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে, যেটি এখন ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি জেলা। ২৬৬ বছর পেরিয়ে গেছে। তারপরও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে মুর্শিদকুলি খাঁ থেকে শুরু করে সিরাজউদ্দৌলার স্মৃতিবিজড়িত অনেক চিহ্ন এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন ইতোমধ্যে ভাগীরথী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যা আছে সেটি দেখতেই প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থী আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের প্রায় সব সদস্যসহ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া বাংলার ইতিহাসের দ্বিতীয় মহাবিয়োগান্ত ঘটনা আর ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সিরাজউদ্দৌলার বিয়োগান্ত ঘটনার মধ্যে স্থান, কাল ও পাত্র-পাত্রী ব্যতীত ঘটনাপ্রবাহের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতি বছর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একবার যাওয়া হয়। আর ধানমন্ডিতে গেলেই একবার মুর্শিদাবাদ যাওয়ার ইচ্ছা মনে জাগে। নানা কারণে এত দিন সময় সুযোগ হয়নি। তাই এবার গ্রীষ্মের দাবদাহ কিছুটা বিদায় নেওয়ার পর নভেম্বরের শুরুতে আবহাওয়া একটু আরামদায়ক হতেই সিদ্ধান্ত নিলাম মুর্শিদাবাদ যেতে হবে। ভ্রমণ কখনো একা একা আনন্দদায়ক হয় না। তাই আমি আর আমার স্ত্রী ইয়াসমিন এবং সঙ্গে আর্মির ব্যাচমেন্ট ও স্কুলসাথি কর্নেল শওকত আর ভাবি। বরাবরই ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে শওকতের অনেক আগ্রহ। চারজন একটা ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ঢাকা থেকে বিমানযোগে কলকাতা হয়ে সড়কপথে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করলাম। ১২ নভেম্বর সকালে কলকাতার হোটেল থেকে নাশতা সেরে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে গাড়িতে বসলাম। বড় জিপ গাড়ি। চালকের নাম সুকুমার, খাস বাঙালি। যাত্রার শুরুতেই বুঝলাম সুকুমার আর যেটাই হোক কথার কাঙাল নয়। কলকাতা শহর থেকে বের হতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েতে একটু পরপরই ভাঙা জায়গায় এখন ব্যাপক মেরামতের কাজ চলায় ধীরগতিতে চলছে গাড়ি, ঝাঁকুনিও লাগছে। সুকুমার বলল, বুঝলেন না স্যার, লোকসভা নির্বাচন সামনে তাই রাস্তা মেরামতের খুব তোড়জোড় চলছে। ভোটের শেষে পাঁচ বছর আর কোনো খবর থাকবে না। তবে বাঙালি ভোটের সময় বাঙালিদের সঙ্গেই থাকবে, স্পষ্ট মত সুকুমারের। প্রান্তিক পর্যায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয় তাহলে রাজনীতিতে ধাপ্পাবাজি, মিথ্যাচার ও প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে যায়। একাত্তরের খুব পরিচিত স্থান কল্যাণী ও কৃষ্ণনগর পার হতেই ভালো রাস্তা পেয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় সুকুমার। পথে মুর্শিদাবাদের বেশ একটু আগে পড়বে পলাশীর প্রান্তর। গাড়ির গতি দেখে শওকত মনে করিয়ে দিল, সুকুমার, পলাশীর প্রান্তর কিন্তু অবশ্যই দেখতে হবে। বেলা দেড়টার দিকে পলাশী যুদ্ধের স্মৃতিসৌধের পাদদেশে পৌঁছে প্রথম দৃষ্টিতেই কিছুটা হতাশ হলাম। ছোট একটু জায়গাকে ঘিরে পাথরের তৈরি সিরাজউদ্দৌলার প্রতিকৃতিসহ স্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে লেখা আছে পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্র ২৩ জুন ১৭৫৭। চটজলদি আমরা কয়েকটি ছবি তুললাম। ইতিহাসে বর্ণিত আম্রকানন সে রকমই দেখব তা প্রত্যাশা করিনি। তবে ভেবেছিলাম, ইংরেজ ও নবাব বাহিনীর সমাবেশস্থল এবং মীরজাফর ও ইয়ার লতিফ বাহিনী যে স্থানে দাঁড়িয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেগুলো অন্তত চিহ্নিত থাকবে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন শেষ বেলায় মীরজাফরের গোপন সংকেতবার্তা পেয়ে ইংরেজ বাহিনী যে স্থান দিয়ে ভাগীরতী নদী পার হয়ে মোহনলাল-মীরমদন বাহিনীকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত করেছিল সেটি এখন একটি ফেরিঘাট। ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকায় ছোট ছোট গাড়ি এপার-ওপার আসা-যাওয়া করে। তবে কোনো স্মারকচিহ্ন নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ইতোমধ্যে ২টা বেজে গেছে। ফেরিঘাট থেকে প্রধান সড়কে ফেরার পথে চারদিকে প্রাচীর দেওয়া একটা স্থাপনাকে পর্যটন কেন্দ্র বলে মনে হলো। প্রবেশ করে দেখি একদম নিরিবিলি। আম গাছের নিচে টেবিল-চেয়ারে বসে কয়েকজন কথাবার্তা বলছে। একটা আম গাছের গায়ে টাঙানো টিনের একটি বোর্ডে লেখা আছে, ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধক্ষেত্র, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের অধীনে অতিথি নিবাস ও রেস্তোরাঁ। একজনকে জিজ্ঞাসা করতেই জানাল দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে, ভিতরে যান। ভিতরে ঢুকে দেখি লোকজনশূন্য, টেবিল-চেয়ার সব খালি। একজন এসে বলল, অর্ডার দেওয়ার পর প্রস্তুতি ও রান্না শুরু হবে এবং তাতে কম করে হলেও ১ ঘণ্টা লাগবে। একাই একশ পচেন সরকার। বাবুর্চি, পরিবেশনকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অর্ডার পেয়ে পচেন সরকার কাজ শুরু করল। হেমন্তের প্রায় শেষ, শীত আসি আসি করছে। নদীয়া জেলার এক পল্লীতে, পলাশী যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝখানে আম গাছের ছায়ায় ঘেরা অতিথি নিবাসের মধ্যে হেলে পড়া সুখের মিষ্টি রোদের আবেশে আমরা কেবল চারজন সবকিছু ঘুরে দেখতে দেখতে ১ ঘণ্টা কখন পেরিয়ে গেছে টের পাইনি। পেছন থেকে পচেন সরকারের ডাক, স্যার আসেন খাবার রেডি। গরম ভাত, ডাল তরকারিতে গরম ধোঁয়া উঠছে। খাবার মুখে দিয়ে বুঝলাম পচেন সরকার পাকা বাবুর্চি। খাবার শেষ করে আবার যাত্রা শুরু। মুর্শিদাবাদ শহরের একটু বাইরে একদম নিরিবিলি পরিবেশে ভাগীরথী পূর্বতীর ঘেঁষে আমাদের বুকিং দেওয়া জলছবি রিসোর্টে পৌঁছতে পৌঁছতে সূর্য লাল হয়ে পশ্চিমে ডুব দেবে দেবে করছে। রিসোর্টের সামনে অনেক বড় ফাঁকা মাঠের এক প্রান্তে ভাগীরথীর তীরঘেঁষে টেবিল-চেয়ার সাজানো। তাড়াতাড়ি রুমে লাগেজ রেখে ভাগীরথীর কূলে বসে পশ্চিমে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে চা-কফি আর গরম গরম সবজি পাকুড়া নিয়ে হাজির হলো হোটেলবয়। গরম চা-পাকুড়া মুখে আর সামনে শত শত বছর ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে চলা খরস্রোতা ভাগীরথী, যে নদীর গর্ভেই ডুবে যায় বাংলার শেষ নবাবের সূর্যাকাশ। অন্ধকার নেমে আসতেই দেওয়ালি উপলক্ষে সাজানো রংবেরঙের ঝলমলে আলোতে জ্বলে উঠে জলছবি চত্বর। আমরা বিশ্রামের জন্য রুমে চলে যাই। ১৩ নভেম্বর সকালেই শুরু হয় দর্শনের মূল পর্ব। নিজেদের জিপ গাড়ি ছেড়ে একটা খোলা টুকটুক গাড়িতে সারা দিনের জন্য গাইডকাম চালক কৃষ্ণ বিশ্বাসকে নিয়ে যাত্রা শুরু। প্রথমেই পড়ে মীরজাফরের কবরস্থান। শওকত বলল, ভাই প্রথমেই মীরজাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দিনটা কি ভালো যাবে। কোনো অসুবিধা নেই স্যার, চিৎকার করে জবাব দেয় গাইড কৃষ্ণ বিশ্বাস। সারি সারি অনেক কবর, সবটাই পাথরে বাঁধানো। দর্শনার্থী অনেক। কোনো কবরেই নাম-পরিচয় লেখা নেই। ঢুকেই সবার মুখে একই কথা, মীরজাফরের কবর কোনটা। একজন একটাকে দেখিয়ে বলল, এটাই মীরজাফরের কবর। লক্ষ্য করলাম তার পাশ দিয়ে যেতেই প্রত্যেক দর্শনার্থী নিজের মতো করে বিড়বিড় করে গালি দিতে দিতে যাচ্ছে। গাইডের হুঁশিয়ারি, কেউ কবরে পা  দেবেন না, থুথু ফেলবেন না। এরকম আদেশের কারণ জিজ্ঞাসাতে একজন জানাল, একসময়ে দর্শনার্থীরা এসে মীরজাফরের কবরে থুথু ফেলত, আবার কেউ পা দিয়ে লাথি দিত। ধর্মীয় বিবেচনায় এটা ঠিক নয় বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই আদেশ জারি করেছে। এরপর মুর্শিদকুলি খানের প্রাসাদ ও মসজিদ দেখে হাজির হলাম মীরজাফরের বাড়ির সামনে। বিশাল লোহার গেটের গায়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে, নেমকহারামের দেউড়ি। গেটে বড় এক তালা ঝুলছে। ভিতরে এখনো কিছু বংশধর বসবাস করে। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, দর্শনার্থীরা এদের ওপর আক্রমণ ও মারধর করেছে। তাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখন আর কেউ ভিতরে ঢুকতে পারে না। নেমকহারামের দেউড়ি থেকে কাঠগোলা দেখে জগৎশেঠের প্রাসাদে হাজির হলাম। অনেক বড় প্রাসাদ ঘুরিয়ে গাইড মাটির নিচে জগৎশেঠের গোপন কক্ষে নিয়ে গেল। এই কক্ষে বসেই হতো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। কাসিমবাজার কুঠির প্রধান উইলিয়াম ওয়াটস নাকি অনেক সময় শাড়ি আর বোরকা পরে গোপনে ছদ্মবেশে এই গোপন কক্ষে ষড়যন্ত্রে যোগ দিতেন। আলিবর্দী খাঁর সব কাজের সঙ্গী ছিলেন জগৎশেঠ। তার কারণেই ব্যাংক ও টাঁকশালসহ বিশাল ধন-সম্পত্তির মালিক হন তিনি। 

অথচ সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য সব টাকার জোগান দেন জগৎশেঠ। এসব শুনতে শুনতে শওকতকে বললাম, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কত জগৎশেঠ তৈরি হয়েছে তা কে জানে। জগৎশেঠের মতো একটা পরিবারই ছয়-সাতটা ব্যাংকের মালিক। শোনা যায়, তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা শুধু নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও টাকা ঢালছে। হাতিরঝিলে সিরাজউদ্দৌলা ও মতিঝিলে ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই এবার আমাদের মূল গন্তব্যস্থল সিরাজউদ্দৌলার কবরস্থান। সমাধিস্থল খোসবাগে যাওয়ার জন্য আমাদের ভাগীরথী পার হয়ে পশ্চিম পাড়ে যেতে হবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় গাইড গাড়িসহ উঠে নদীর মাঝখানে যেতেই মনের ভিতর ইতিহাসের ছবি ভেসে ওঠে। নির্মল আকাশের নিচে নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে দূর স্রোতে আরেকটি পাল তোলা নৌকার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি ২৬৬ বছর আগে এমনই এক নৌকাযোগে এই ভাগীরথী দিয়ে পালানোর পথে ভগবানগোলার ঘাটে মীরজাফরের লেলিয়ে দেওয়া লোকের হাতে সিরাজউদ্দৌলা পরিবারসহ ধরা পড়েন এবং এক দিন পরই বন্দি অবস্থায় নিহত হন। এসব ভাবতে ভাবতেই ফেরি পাড়ে এসে যায়। ১৫ মিনিটেই খোসবাগে চলে আসি। জুতা খুলে সমাধিস্থলের ভিতরে প্রবেশ। প্রথমেই আলিবর্দী খাঁর কবর। তারপর আলিবর্দী খাঁর স্ত্রী ও সিরাজের মা আমেনা বেগমের কবর পাশাপাশি। গাইড একেক করে বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে। তার পরের ভাগেই সিরাজউদ্দৌলার কবর। পাশেই শায়িত স্ত্রী লুৎফা বেগম। এখানে এসেই সব দর্শনার্থী একবার কিছুক্ষণের জন্য থমকে যান। বিষণ্ণ মনে প্রত্যেকেই যে যার মতো করে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। ভাগ্যহত নবাব সিরাজের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতবর্ষের ভাগ্য হারিয়ে যায়। পশ্চিমে মারাঠা ও আফগান দস্যু, ঘরের মধ্যে ঘসেটি বেগম, শওকত জঙ্গ, রাজ্য প্রশাসনে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ, উমিচাঁদ ও জগৎশেঠ। চারদিকে শুধুই ষড়যন্ত্রকারী শত্রু। এর সুযোগ নেয় কাসিমবাজার আর ফোর্ট উইলিয়ামে ঘাঁটি গাড়া ইংরেজ বণিক। শেষ পর্যন্ত এত ভার বইতে পারছিলেন না মাত্র ২৫ বছরের যুবক সিরাজ। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বিকাল পর্যন্ত যখন মীরজাফর যুদ্ধ না করে সৈন্যবাহিনী নিয়ে নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন তখন সিরাজউদ্দৌলা মাথার পাগড়ি খুলে মীরজাফরের পায়ের কাছে রেখে শেষবারের মতো বলেছিলেন, জনাব মীরজাফর আলী খান আপনি শুধু আমার প্রধান সেনাপতি নন, পরম আত্মীয়ও বটে, আমি সিংহাসন চাই না, আপনি আমার মৃত দাদু আলিবর্দীর ইজ্জত রক্ষা করুন, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করুন। কিন্তু মীরজাফরের হৃদয় তাতে নড়েনি। গাইডের আবেগঘন পাঞ্জল বর্ণনায় সবার মন ও হৃদয় ভারী হয়ে ওঠে। আনমনা হয়ে বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে আমাকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শওকত এসে বলল, ভাই যেতে হবে চল। ভাগীরথী পার হয়ে পূর্বপাড়ে এসে দুপুরের জন্য কিছু খেয়ে নিলাম। কাসিমবাজার কুঠি দেখতে হবে। মুর্শিদাবাদ থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। কুঠি খুঁজে পেতে একটু কষ্টই হলো। এটি এখন কান্তবাবুর রাজবাড়ি নামে পরিচিত। তখন কাসিমবাজার কুঠির দায়িত্বে থাকা মেজর উইলিয়াম ওয়াটস কোম্পানির দূত হিসেবে কাজ করায় রাজপ্রাসাদসহ সর্বত্রই ছিল তার অবাধ যাতায়াত। এ কুঠিতে বসেই সব ষড়যন্ত্র হয়। কুঠি দেখা শেষ করে আমাদের রিসোর্টে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল। রাতে খাবার খেয়ে তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়লাম। রাষ্ট্র, রাজনীতি, ধনসম্পদ এবং তার সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ির রক্তাক্ত ঘটনার মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির কথা মন থেকে কিছুতেই দূর করতে না পারায় ঘুম ভালো হলো না। মানুষ প্রজাতি জন্মের শুরু থেকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো প্রাণিকুলে নিজেদের মধ্যে এত দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণদের কারণেই অশান্তি বেশি হয়। খুব ভোরেই বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। মুখ-হাত ধুয়ে রুমসংলগ্ন বারান্দায় গেলাম। মৃদু শীতের আবেশে পিঠে প্রাত সূর্যের রোদ, সামনে ভাগীরথী নদী। সুন্দর এক অনুভূতিতে ভাবি এত ট্র্যাজেডি এবং এত রক্তের সাক্ষী হয়েও অনন্তকাল ধরে নীরবে বয়ে চলেছে ভাগীরথী। এক দিনের জন্যও থেমে যায়নি। হেমন্তের এক বিকালে দেখা কাসিমবাজারের কুঠির কথা ভাবতেই ঢাকার গুলশান-বারিধারায় অধুনা কিছু কাসিমবাজারের কুঠির চেহারা মনে উঁকি দেয়। দুয়ের মধ্যে আড়াই শ বছরের ব্যবধান হলেও কী আশ্চর্য মিল। আর ঢাকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানের ভিতরে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ, জগৎশেঠ ও উমিচাঁদের সংখ্যা এখন কত হবে তা ভাবতেই মনে শঙ্কা আসে। সিরাজ যেমন দাদু আলিবর্দী খাঁর রাজ্য রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন, তেমনি আড়াই শ বছর পর একাধিকবার ভয়ংকর হত্যাচেষ্টার হাত থেকে এখনো বেঁচে থাকা শেখ হাসিনা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সৃষ্ট বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছেন। পাশে বহু লোক দেখা গেলেও এ যুদ্ধে সিরাজের মতো তিনিও একা। কিন্তু পার্থক্য এই, শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আছে, ২০০৭-০৮ সালে তার একটা পরীক্ষা হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এ যুদ্ধে শেখ হাসিনাকে জিততে হবে। সুতরাং আজকের মোহনলাল-মীরমদনরা হুঁশিয়ার।

লেখক : রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা