অনেকদিন পর অ্যালবাম প্রকাশ হলো।
হ্যাঁ। ভালো গান তৈরির জন্য সময় লাগে। তাই লম্বা সময় নিয়েছি। দেরিতে হলেও কিছু ভালো গান শ্রোতাদের হাতে তুলে দিতে পেরেছি ভেবে ভালো লাগছে। গানগুলো মানুষ শুনছেও।
নিজের প্রতিষ্ঠান থেকেই তো অ্যালবামটি করেছেন?
আমার প্রতিষ্ঠান 'সম্পর্ক' থেকেই অ্যালবামটি প্রকাশ করেছি। অডিও কোম্পানিগুলোর আচরণ আমার ভালো লাগে না। অর্থনৈতিক ব্যাপার নিয়েও ঝামেলা হয়। তাই নিজেই প্রতিষ্ঠান গড়েছি। এখন তো অডিও বিজনেসে খরা চলছে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি ভালো গান প্রকাশ করতে। মূলত ব্যবসা নয়, সংস্কৃতিচর্চা এবং প্রসারের জন্য সম্পর্ক গড়েছি আমি।
অ্যালবামের নাম 'অনুরাগের মানুষ' কেন?
পেছনে গল্প আছে। বাউল শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছেন অসংখ্য শিল্পী। আদিকাল থেকে বয়ে চলেছে এ গানের ধারা। তাদের হাত ধরেই হাজার বছরের সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে, সংস্কৃতি এগিয়ে যাচ্ছে। একেবারেই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। শত-শত বছর ধরে যারা এই ধারা বহন করে চলেছেন, তারাই আমার কাছে অনুরাগের মানুষ। এমনই কয়েকজন অনুরাগের মানুষের গান দিয়ে অ্যালবামটি তৈরি করেছি। তাই নাম দিয়েছি 'অনুরাগের মানুষ'।
কাদের গান গেয়েছেন?
অ্যালবামে আমি শংকর দাস বাউল, আক্কাস দেওয়ান, রাজ্জাক দেওয়ান, মুকুন্দ দাস, আলেয়া ও অতনু তিয়াসের গান গেয়েছি। গানগুলোর সংগীতায়োজন আমিই করেছি। বলতে পারেন, গানগুলো গেয়ে আমি বেশ তৃপ্তি পেয়েছি।
শুধু ফোক গানই করছেন কেন?
কী করব! আমার জন্ম হয়েছে ফোক গান নিয়ে কাজ করার জন্য। বাংলা ফোক গানের ভাণ্ডার খুব সমৃদ্ধ। তা কখনো শেষ হওয়ার নয়। আমি ফোক গান নিয়েই থাকতে চাই। তা ছাড়া নতুন প্রজন্মের কেউ তো ফোক গান করছে না। আমি করছি। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করছি।
১০০ লালনগীতি নিয়ে কাজ করছিলেন।
কাজ চলছে। আসছে ঈদে ৫০টি গান প্রকাশ করব। ৫টি সিডিতে থাকবে গানগুলো। এখন সে কাজই চলছে। গানগুলো ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় লালন ভক্তদের জন্য এটা সুখবর। তারা প্রথম ধাপে লালনের ৫০টি গান পাচ্ছে। এরপর আরও ৫০টি পাবে। সংগ্রহে রাখার মতো কাজ হচ্ছে।
আর কী করছেন?
অনেক কাজ করছি। বছরের মধ্যভাগে সবার জন্য চমক আছে। এখনই গোমর ফাঁস করতে চাচ্ছি না। ঘটনাটি আমার জন্য বড়। আমার ভক্তদের জন্যও নিশ্চয় বড় সুখবর হবে। নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সম্পর্ক থেকে বিভিন্ন শিল্পীর গান হচ্ছে। আর এখন আপাতত ব্যাগ গুছাচ্ছি।
কেন, ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
অস্ট্রেলিয়া যাব আজ। সেখানে একটা বৈশাখী কনসার্টে অংশ নেব। ফিরব মাসের শেষে।
- শোবিজ প্রতিবেদক