গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা তুলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিন। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব মামলা তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। তাহলে আপনাদেরই লাভ হবে। দেশ ও জনগণের লাভ হবে। দেশ-গণতন্ত্রের দিকে প্রসারিত হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই আহ্বান জানান। বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জিনাফ-এর সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ অংশ নেন। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ইয়েলো জার্নালিজম তো এই সরকারই সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিকরা হলেন সত্য অনুসন্ধানী, সব সময় তারা সত্য প্রকাশ করে। এই সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো সাংবাদিকরা। তারা প্রকৃত তথ্যকে সবার সামনে তুলে ধরেন। সেই সাংবাদিকদের কণ্ঠ যখনই রোধ করা হয়, তখনই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। সরকারের ভুল নীতি, ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার কারণে দেশকে বাধ্য করছে একটা ভুল পথে নিতে। কারাবন্দি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ১৪ নভেম্বর নয়, আজকেই তাকে মুক্তি দিন। সব কারাবন্দি সাংবাদিককে মুক্তি দিন। সত্য কথা বলুন, সত্য প্রকাশ করুন। তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে। এদিকে বক্তব্য দেওয়ার প্রাক্কালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণে তিনি দুর্বলতা অনুভব করলে তিনি দাঁড়িয়ে না থেকে বসে থেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে তিনি দ্রুত ধানমন্ডি নগর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে যান। সেখানে প্রফেসর ডা. নজিব মোহাম্মদ তার শারীরিক চেক আপ করান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে বিশ্রামে ও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।