সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশে

রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ

মিয়ানমার থেকে তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ সীমান্তে গোলা এসে পড়ার ঘটনায় ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদপত্র দেন।

জানা যায়, সকালে রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তলব করা হয়। তার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সাম্প্রতিক ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে সতর্ক করা হয় মিয়ানমারকে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের স্বার্থে রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন বলে সে বিষয়েও নেপিদোকে ঢাকার তরফ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২০ ও ২৮ আগস্টও মিয়ানমার থেকে মর্টারের গোলা বাংলাদেশ সীমানায় এসে পড়ে। সে কারণে ২১ ও ২৯ আগস্ট মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। এরপর গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকায় এসে পড়ে। রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাতের ধারাবাহিকতায়ই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সব কিছু মাথায় রেখেই সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রেখেছে বাংলাদেশ। তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সীমানায় গোলা পড়ায় ফের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারে ওখানে সংঘাত হচ্ছে। ইন্টারনাল সংঘাত হচ্ছে। সেই সংঘাতের কারণে আমাদের এখানেও দুটা বোমা পড়েছে। ওরা বলেছে, এগুলো স্ট্রে। হঠাৎ করে চলে এসেছে। কোনো উদ্দেশ্য নেই এর পেছনে। উসকানিও আমাদের দিচ্ছে না। তারা (মিয়ানমার) বলেছে, এটা এখানে পড়ে গেছে। আমরা আজকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলাম। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছি। সুতরাং আমরা সঠিক পথেই আছি। মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে শক্ত অবস্থান নিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছি। ওখানে বেশ সংঘাত হচ্ছে। যার ফলে আমাদের ভয় হচ্ছে, ওখান থেকে লোক যদি আবার আমার দেশে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা এ জন্য আমাদের যত বর্ডার গার্ড অন্যান্য সিকিউরিটি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। কেউ যেন এখানে না আসতে পারে।

সর্বশেষ খবর