বিদ্যমান ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন প্রায় ১৭ লাখ বাদ পড়া ও তরুণ ভোটার। আজ তাঁদের যুক্ত করে ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপরে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। চলতি বছরের শেষে সংসদ নির্বাচন হলে এই ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করতে পারবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। আজ খসড়া প্রকাশ করা হলেও আবারও বাদ পড়া ও নতুন ভোটার সংগ্রহে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আজ ২ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রকাশের পর নতুন ভোটাররা ভুলভ্রান্তি সংশোধনে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিন আবেদন করার সুযোগ পাবেন। ভোটার তালিকার বিষয়ে অন্য কারও কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে, সেই বিষয়ে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করা যাবে। এরপর ইসি দাবি-আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। ইসি জানিয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা-২-এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুলভ্রান্তি বা কারও কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর দাবি-আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। সবশেষ গত বছরের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছেন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হবেন প্রায় ১৭ লাখ। গতকাল ১ জানুয়ারি যাঁরা ভোটারযোগ্য হয়েছেন, এ বছরের হালনাগাদে তাঁরাই যুক্ত হচ্ছেন। এদিকে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ২ জানুয়ারি (আজ) ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তাঁরা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য।