যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো পুরুষাঙ্গ সংযোজন করা হয়েছে। অন্যের পুরুষাঙ্গ শরীরে নিয়ে সুস্থ আছেন ম্যাসাচুসেটসের হ্যালিফ্যাক্সের বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সী থমাস ম্যানিং। গত সপ্তাহে ক্যান্সারে আক্রান্ত থমাসের শরীরে ১৫ ঘণ্টা ধরে সংযোজন করা হয় আরেক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ। খবর বিবিসি বাংলার।
ক্যান্সারে আক্রান্ত থমাসের পুরুষাঙ্গ কেটে বাদ দেয়া হয় ২০১২ সালে। এরপর থেকে তার শরীরে সংযোজনের জন্য কারও দান করা ‘পুরুষাঙ্গ’ খোঁজা হচ্ছিল। সম্প্রতি এরকম প্রত্যঙ্গ দানকারী এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার পুরুষাঙ্গ সংযোজন করা হয় থমাস ম্যানিংয়ের শরীরে।
এ ঘটনাকে পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনে বড় সাফল্য বলে বর্ণনা দিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, ম্যানিং এখন প্রস্রাব করতে পারবেন এবং ‘যৌন সক্ষম’ হয়ে উঠবেন বলে তারা আশা করছেন।
পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর থমাস ম্যানিং এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পুরুষাঙ্গ হারানোর পর তিনি নতুন একটি ‘পুরুষাঙ্গ’ সংযোজনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। যদিও তার এটা ভেবে কষ্টও হয়েছে যে আরেকজন মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাকে এই পুরুষাঙ্গটি পেতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং চীনে আরও দুই ব্যক্তির শরীরে পুরুষাঙ্গ সংযোজন করা হয়েছিল। তবে সেগুলো শতভাগ সফল ছিল না।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মে, ২০১৬/ আফরোজ