লেবাননের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জোসেফ আউন তার দেশের সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের উসকানিমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লেবাননের সেনারা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কোনও সুযোগ কাউকে নিতে দেবে না এবং দেশের ভেতরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিরও সুযোগ দেবে না।
শুক্রবার লেবাননের সামরিক বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
জোসেফ আউন বলেন, “সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের তৎপরতার ওপর আমরা নজর রেখে চলেছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের তৎপরতা বেড়েছে এবং নতুন যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।”জেনারেল আউন আরও বলেন, লেবাননের সামরিক বাহিনী মাতৃভূমির নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে এবং তারা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার মেরুদণ্ড। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শপথের প্রতি বিশ্বাসী থাকব তাতে পথ যতই বিপদসংকুল হোক কিংবা চ্যালেঞ্জ যত বড় হোক। দেশের সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করা এবং তাদেরকে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করার প্রচেষ্টা অতীতে আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবানন ২০০০ ও ২০০৬ সালে দুইবার যুদ্ধ করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ২০০৬ সালে ৩৩ দিনের যে যুদ্ধ হয় তাতে প্রধানত দেশটির ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ অংশ নেয় এবং তাদের প্রতিরোধমূলক যুদ্ধের মুখে ইসরায়েল জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়।
লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দিন দিন এই সংগঠন দেশটির শক্তিশালী সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। হিজবুল্লার সাথে ইসরায়েল যে দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তার দুটিতেই তেল আবিব বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম