সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা শুক্রবার জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে সিরিয়ার মুদ্রা দামেস্ক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে নোট ছাপা হতো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থানীয় মুদ্রার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
সিরিয়ার নতুন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মায়সা সাবরিন জানুয়ারিতে রয়টার্সকে বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হারের ওঠানামা থেকে রক্ষা পেতে তিনি সম্ভব হলে সিরিয়ার পাউন্ড ছাপানো এড়াতে চান।
এরপর থেকে কালোবাজারে সিরিয়ার পাউন্ড শক্তিশালী হয়েছে। শুক্রবার বন্ধ থাকা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলির মতে, বৃহস্পতিবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৯,৮৫০ পাউন্ডে লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতি অনুসারে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে সরকারি বৈদেশিক মুদ্রার হার ১৩,০০০ পাউন্ডের কাছাকাছি রয়ে গেছে।
ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা আসাদকে উৎখাত করার পর থেকে পাউন্ডের ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়ার প্রতিফলন এই হারে দেখা যাচ্ছে। যার পেছনে রয়েছে বিদেশ থেকে আসা সিরিয়ানদের আগমন এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাণিজ্যের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের অবসান।
কিন্তু এর ফলে সিরিয়ান পাউন্ডের তারল্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে মাত্র ২০০ মিলিয়ন ডলার নগদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০১০ সালে সিরিয়ার কাছে ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে বলে অনুমান করেছিল।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা মার্সিকর্পসের সংকট বিশ্লেষণ ইউনিটের এই মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে তারল্যের ঘাটতির কারণে পরিবারগুলি মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ার আগে সিরিয়ার অর্থ অস্ট্রিয়ায় অস্ট্রিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টেরেরেইচিশে ব্যাংকনোটেন-আন্ড সিচেহাইটসড্রাক জিএমবিএইচ মুদ্রিণ করা হতো।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল