ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা তিনি তাচ্ছিল্য করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার ওপর হামলা হয়েছে, যেমন সত্যের ওপর হয়। তবে এটা কিছুই না, ফিলিস্তিনিরা যেটা সহ্য করছে তার তুলনায় এটা কিছুই না।
আলবানিজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ শুধু তার ব্যক্তিজীবন নয় পরিবারের জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। তার মতে, “এটি জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী, জাতিসংঘের অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত কনভেনশনের লঙ্ঘন। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।”
তিনি জাতিসংঘকে আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কাজ করে এই ‘অগ্রহণযোগ্য’ পদক্ষেপের সমাধান করতে।
ইলন মাস্কের এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে তাঁর ব্লু-টিক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আলবানিজ সাফ জানিয়ে দেন, কে পরোয়া করে! ব্লু টিক গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমার কাজই আসল।
ইতালির এই আইনি বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার কর্মী বহুদিন ধরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর সংঘটিত ‘ব্যবস্থাগত অপরাধ’-এর কথা তুলে ধরছেন।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পেছনে প্রভাব রেখেছেন।
আলবানিজ জানান, এই নিষেধাজ্ঞা তাকে দমাতে পারবে না, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
এদিকে, এই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং ফিলিস্তিনপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো। জাতিসংঘের বিশ্লেষকদের মতে, আলবানিজের মতো তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল