ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত রুজবেহ বাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরানের বিচার বিভাগ।
ইরানের সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আজ বুধবার সকালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিচার বিভাগ জানায়, বাদি ইরানের একটি অতি-সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে উচ্চপর্যায়ের পদে কর্মরত ছিলেন এবং তার অবস্থানের কারণে তিনি মোসাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। সাইবার মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে মোসাদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, ‘আলেক্স’ নামে এক মোসাদ কর্মকর্তা প্রথমে বাদির পরিচয় যাচাই করে এবং পরে ‘কেভিন’ নামে আরেক কর্মকর্তা তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এরপর থেকে বাদি নিয়মিতভাবে মোসাদের জন্য তথ্য সরবরাহ করতে থাকেন।
তার অনুরোধে মাসিক ভিত্তিতে একটি ডিজিটাল মুদ্রা ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হতো। মোসাদের পক্ষ থেকে বাদিকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষিত যোগাযোগের উপায় সরবরাহ করা হয়, যার মাধ্যমে তিনি সংবেদনশীল তথ্য পাঠাতে সক্ষম হন।
বাদি স্বীকার করেছেন, তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গিয়ে পাঁচবার মোসাদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। সেখানেই তাকে নতুন মিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তেহরানে ফিরে এসে তিনি তা বাস্তবায়ন শুরু করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তিনি ইরানের এক পরমাণু বিজ্ঞানীর সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করেছিলেন, যিনি সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
পরবর্তীতে নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারিতে তার কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে এবং প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তার বিরুদ্ধে 'শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তি ও সহযোগিতা'র অভিযোগ আনা হয় এবং ইসলামিক দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
ইরানের সরকারি সূত্রে আরও জানা যায়, সম্প্রতি ইরানজুড়ে মুসাদের সঙ্গে যুক্ত ৭০০-এর বেশি গুপ্তচরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গোপন ড্রোন ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল