শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রশ্নে বিভক্ত ইইউ

‘চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ তার থেকে বিরত থেকেছে’

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে নতুন মাত্রা দিচ্ছে চীন। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের পর। এতে চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, মনে করছে ইইউ। এ অবস্থায় চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। বিষয়টিতে এক কাঠি সরেস লিথুয়ানিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যান্ডসবার্গিস জার্মান গণমাধ্যম ডিডব্লিউকে বলেছেন, ‘শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’

গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)। তারপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং। লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করছেন, চীনের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো। তবে ইইউর সব সদস্য দেশ এ রকম চরম পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউর এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েকবছরে শি ও পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে এখন শি রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। ইইউর দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে।

প্রেসিডেন্ট শি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে কোনো সীমারেখা থাকবে না। এমনিতেই ইইউর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আগের তুলনায় খারাপ। রাশিয়ার কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে।

এদিকে বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ মনে করছে, চীন এবার রাশিয়াতে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। ইইউর সেক্রেটারি জেনারেল স্টল টেনবার্গ জানিয়েছেন, চীন যে রাশিয়াতে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, এমন কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। চীন বিশেষজ্ঞ স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বজায় রেখেছে। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়াকে যে টায়ার, পোশাক ও অন্য জিনিস দিচ্ছে, তা রাশিয়ার সেনা ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু এখনো তারা কোনো অস্ত্র রাশিয়াকে দেয়নি।’ স্টেকের মতে, ‘তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। উইঘুর নিয়ে ইইউর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ফলে চীনও চাপে আছে। ইইউ চীনের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। তবে ইইউ আরও ব্যবস্থা নিলে তাদের অর্থনীতিতে চার চাপ পড়বে।’ যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে ইইউ এখনো সাড়া দেয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাইছেন, চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ তার থেকে বিরত থেকেছে।

সর্বশেষ খবর