গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেসকা আলবানিজ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের অর্থনীতি দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই প্রতিটি দেশকে এখনই ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক পর্যালোচনা করে তা স্থগিত করা উচিত। বেসরকারি খাতের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কলম্বিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ঠেকানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
গাজায় ‘পদদলিত’ হয়ে নিহত ২০ : যুক্তরাষ্ট্রর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ কেন্দ্রে গতকাল ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জিএইচএফ বলেছে, সশস্ত্র আন্দোলনকারীরা জনতাকে উসকে দেওয়ার পর তাদের ভিড়ের চাপে ঘটনাটি ঘটেছে। -রয়টার্স
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে গাজার ত্রাণ কেন্দ্রগুলো ও খাদ্যবাহী ত্রাণবহরের কাছে অন্তত ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু নথিবদ্ধ করেছে তারা। এসব মৃত্যুর বেশির ভাগই ঘটেছে জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছে। ইসরায়েল সমর্থিত জিএইচএফ জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের তাদের একটি কেন্দ্রে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১৯ জন ও একজন ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে জিএইচএফ বলেছে, ‘আমাদের বিশ্বাস করার নির্ভরযোগ্য কারণ রয়েছে যে, জনতার মধ্যে মিশে থাকা সশস্ত্র ও হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা উসকে দিয়েছে।’ তবে এ ঘটনা বা জিএইচএফের বিবৃতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি, জানিয়েছে রয়টার্স। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রটিতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, ছোট একটি জায়গায় ধারণ ক্ষমতার বেশি লোক জড়ো হওয়ার পর অনেকেই ভিড়ের চাপে পিষ্ট হয়। মে মাসে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সরবরাহের ওপর তাদের ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত জিএইচএফ অনাহারি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করতে শুরু করে। এই জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতির সমালোচনা করেছিল জাতিসংঘ।